ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার তালিকা। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার খাবার। |
ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার তালিকা। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার খাবার।
ভূমিকা:
আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় দর্শক আশা করি আপনারা সকলেই অনেক ভাল আছেন। আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হয়ে থাকেন অথবা ডায়াবেটিস এখনো হয়নি এমন কেউ হয়ে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য আজ আপনারা জানতে পারবেন ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ২০২৪ এবং ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা পিডিএফ সম্পর্কে বিস্তারিত।
এক নজরে দেখে নেই এই পোস্ট থেকে আপনারা যা যা জানতে পারবেন.
ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ২০২৩
ডায়াবেটিস রোগীর খাবার ফল
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির
ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার
আমাদের অনেকেরই ধারণা যে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হলেই নির্দিষ্ট কিছু খাবার খাওয়া চিরতরে ছেড়ে দিতে হবে বা খাওয়া যাবেনা এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা বরং আপনারা সেই খাবারগুলো খেতে পারবেন তবে সীমিত পরিমাণে।
ডায়াবেটিস রোগীর খাবার রুটিন
প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ মিনিট হাটাহাটি করুন
সময়মতো খাবার গ্রহণ করুন, সকালের নাস্তা দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার যথা সময়ে খেতে হবে।
প্রতিদিন একই খাবার না খেয়ে ভিন্ন ভিন্ন খাবার খান
চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া বাদ দিন সাথে চিনি ও লবণ ( ওই পরিমাণ খান যতটুকু না খেলেই নয়)
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
এবার আসুন জেনে নেই ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন নিয়মিত কোন কোন খাবার গুলো খেতে পারবে এবং যে সমস্ত খাবার খাদ্য তালিকায় থাকতে হবে। সেই সাথে একজন ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন কতটুকু খাবার গ্রহণ করতে পারবে।
ফলমূল এবং সবুজ শাকসবজি
দুগ্ধজাত খাবার যেমন দই, ছানা ইত্যাদি
প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন: ডিমের সাদা অংশ, সিমের বিচি, চীনা বাদাম, ডাল বা দানা জাতীয় খাবার।
সীমিত পরিমাণে তেল অথবা ঘি মিক্স করা খাবার।
উল্লেখিত এই সমস্ত খাবারগুলোর বিস্তারিত আপনারা এই পোষ্টের নিচের দিকে পাবেন এত এক ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়তে থাকুন।
উপরে উল্লেখিত এই খাবারগুলো কতটুকু গ্রহণ করবেন সেটা যেন অত্যন্ত জরুরি কেননা একজন ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য কতটুকু লাগবে সেটা নির্ভর করে তার ওজন, বয়স, লিঙ্গ ও প্রতিদিনের শারীরিক পরিশ্রমের এর উপর। সাধারণত টাইপ টু ডায়াবেটিস হলে সুষম খাদ্য অভ্যাসের অভ্যাস করতে হয় এবং খাবার তালিকা থেকে বেশ কিছু খাবার কমিয়ে নির্দিষ্ট কিছু খাবার বেশি গ্রহণ করতে হয় এটাই মূলত সুষম খাদ্যভ্যাসের অর্থ, এর সাথে যে সমস্ত খাবার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে সেগুলোকে খাওয়া যাবে কিন্তু সীমিত পরিমাণে। আরো একটি কথা মনে রাখবেন ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার নির্ধারণ করা হয় হার্ট এবং রক্তের সুগারের মাত্রার উপর নির্ভর করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার খাবার
আমাদের শরীর যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন শরীরের তৈরি করতে না পারে অথবা কোন কারণে যদি ইনসুলিন এর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয় তাহলে সেই সমস্যাটাকে বলা হয় ডায়াবেটিস। সাধারণত এই রোগটি হলে ঘনঘন প্রস্রাব, প্রচন্ড পানি পিপাসা, মুখ শুকিয়ে যাওয়াসহ আরো অনেক ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। যাইহোক এখন আমি আপনাদেরকে বলবো যে বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম কয়েকটি খাবার যেগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে…
1. ওয়াইল্ড স্যামন মাছ:
ওয়াইল্ড স্যামন একটি সামুদ্রিক মাছ এটি সচরাচর সমুদ্রের আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে পাওয়া যায় কিছু কিছু গবেষকরা এই ওয়াইল্ড স্যামন মাছকে ডায়াবেটিস রোগের মহা ঔষধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন কারণ এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ওমেগা-৩, এছাড়াও রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড।শুধু যে এই ওয়াইল্ড স্যামন মাছেই ওমেগা থ্রি রয়েছে ব্যাপারটি এমন নয় বরং সব ধরনের বড় মাঝেই ওমেগা-৩ থাকে যার যার রক্তে গ্লুকোজের ঘনত্ব কমাতে এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
2. ডিমের সাদা অংশ:
আপনাদেরকে পোস্টের শুরুতেই বলেছি যে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রোটিন গ্রহণ করা খুবই জরুরী তার ভেতর প্রোটিনের অন্যতম উৎস হচ্ছে ডিমের সাদা অংশ। ডিমের সাদা অংশে উচ্চ মাত্রার চরবিহীন প্রোটিন থাকে যা শরীরের পেশি গঠন করতে সহায়তা করে।
3. গ্রিন টি:
অনেকেই হয়তো ডায়াবেটিস ছাড়াই গ্রিন টি খান এটি মানুষের শরীরে ইনসুলিনের মত কাজ করে থাকে তাই ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত যদি গ্রিন টি খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন ইনশাআল্লাহ। (তবে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা একটু সতর্কতার সাথে গ্রিন টি খাবেন)
4. লেবু:
লেবু আমাদের শরীরে সাইট্রিক এসিডের মত এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। গবেষণায় দেখা গেছে যাদের শরীরের ভিটামিন সি এর অভাব থাকে তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই শুধু যে লেবু খাবেন তা না লেবুর মত আরো যেসব ফল রয়েছে সেগুলো খেতে পারেন যেমন মালটা কমলা জাম্বুরা ইত্যাদি.
5. সবুজ শাকসবজি এবং দই:
প্রথমে দই: ডায়াবেটিসের অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে শরীরে চিনির মাত্রা বেশি হয়ে যাওয়া কিন্তু আপনি যদি টক দই খান তাহলে দই আপনার রক্তের চিনির পরিমাণ কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে (বিশেষ করে টক দই) ।
সবুজ শাকসবজি: সবুজ শাকসবজির যেকোন বিকল্প নেই সেটি আমরা আগেই বলেছি। এটিও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে অনেক সহায়তা করে তো নিচে কিছু কম শর্করাযুক্ত শাকসবজি দেয়া হলো যেগুলো আপনারা নিয়মিত খেতে পারেন মাশরুম, শশা, পালংশাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি ও লেটুস ইত্যাদি.
আশা করছি বুঝতে পেরেছেন যে ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার তালিকা কি কি। পরবর্তীতে আমরা ডায়াবেটিস সম্পর্কে আরো বেশ কিছু নতুন পোস্ট আনব সেগুলো জানার জন্য অবশ্যই আমাদের এই সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন। এবং ব্যক্তিগত কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে ইমেইলের মাধ্যমে জানাতে পারেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
0 Comments